*** বাংলা শুভ নববর্ষ ***
বাংলা শুভ নববর্ষ
(Bangla Happy New Year)
@ "এই নতুন বছর আপনাকে গোলাপের মতো
সুগন্ধ-দিনগুলো দিয়ে বরণ করুক।"
® পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ):-
বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি
সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের
দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে
নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়।
ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে
অংশ নিয়ে থাকে। তাই এটি বাঙালিদের একটি
সর্বজনীন লোকউৎসব ।
বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা
হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা
অনুসারে ১৫ই এপ্রিলই পহেলা বৈশাখ । এছাড়াও
দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির
দিন হিসেবে গৃহীত।
- মুঘলদের থেকে উদ্ভব তত্ত্ব -
ঐতিহাসিক মতে, বাংলা দিনপঞ্জি উদ্ভবের
দাবিদার ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ক। সহজে
খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর
বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন
বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। তাই
রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন ও আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন।
১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে
বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি
কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন
আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে।
প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে
"বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ
উদ্যাপন শুরু হয়।
• আধুনিক ইতিহাস •
আধুনিক নববর্ষ উদ্যাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।
• হালখাতা •
হালখাতা হল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পালিত একটি উৎসব যাতে গত বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ হয় এবং একটি নতুন খাতা খোলা হয়। এটি বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীরা পালন করে ।
Comments
Post a Comment
If you have any doubts, please let me know